ফেসবুক শিষ্টাচার - ১৪ টি সাধারণ ভুল এড়াতে হবেই!

0
Facebook Etiquette

ফেসবুক এর অলিখিত কিছু আদব-কায়দা, যা কমন সেন্স বা ফর্মালিটির ব্যাপার!

১. অপরিচিত কাউকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করার সময় তার টাইমলাইন ভালোভাবে পড়ুন। আপনার মতের সাথে না মিললে দরকার নেই বন্ধু তালিকায় যোগ করার। ভিন্নমত গ্রহণ করতে পারলে সমস্যা নেই।

২. রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার সাথে সাথেই ইনবক্সে হুমড়ি খেয়ে পড়ার কিছু নেই। প্রয়োজন ছাড়া ইনবক্স না করাই বরং ভালো।

৩. ভিন্নমত থাকতেই পারে। সমালোচনা করাও স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেটা শালীনতা বজায় রেখে করা উচিত। ভালো না লাগলেই "আপনার মাথায় সমস্যা" বলে নিজের মাথার সমস্যা বুঝিয়ে দেবেন না।

৪. কমেন্ট/ইনবক্সে কেউ যখন কোনো টপিকে কথা বলতে চাইছে না, সেটা বুঝে গেলে বিরত থাকা উচিত।

৫. কেউ সারাদিন ফানি বা কেউ সিরিয়াস পোস্ট দিচ্ছে কেন এসব জিগ্যেস করার কোনো দরকার নেই। ফেসবুকে আসে মানুষ অবসর কাটাতে।

৬. কাউকে অনলাইনে দেখলে "কী করছো" জিগ্যেস করবেন না। কি করছে দেখতেই তো পাচ্ছেন।

৭. "এত রাতে অনলাইনে কী?" এই প্রশ্ন অন্যকে করার আগে নিজেকে জিগ্যেস করুন।

৮. "নিজের ব্যক্তিগত ছবিতে অন্যকে ট্যাগ দেয়ার প্রয়োজন নেই। পোস্ট/ছবি বিষয়ে সম্পর্কিত ব্যক্তি ছাড়া ট্যাগ দেয়ারই দরকার নেই।

৯. কেউ তার পণ্য/বইয়ের প্রচারণা করলে "ভালো হলে লোকে এমনিই কিনবে" বলে বিরক্তি প্রকাশ করার কিছু নেই। ভালো কিন্তু লোকে জানে না, কিভাবে কিনবে? যার বই/পণ্য সে বারবার প্রচার করবে। চুপিচুপি আনফ্রেন্ড করে দেবেন ভালো না লাগলে।

১০. ইনবক্সে নক করলে সাথে সাথে কেউ আপনার রিপ্লাই না করলে মেজাজ খারাপ হওয়ার কিছু নেই। আপনি যেমন সুবিধামতো নক দিয়েছেন, সেও সুবিধামতো রিপ্লাই করবে।

১১. যেখানে-সেখানে ধর্মীয় জ্ঞান দিতে যাবেন না। নিজের টাইমলাইনে সীমাবদ্ধ রাখুন।

১২. অন্য কারো কার্যকলাপ ভালো না লাগলে তাকে প্রতি পোস্টে না খুঁচিয়ে আনফলো/আনফ্রেন্ড/ব্লক করে দেবেন।

১৩. অপরিচিত কাউকে প্রথম আলাপে 'তুমি' বলবেন না। বয়সে ছোট বুঝলেও না। অপরপক্ষ থেকে সম্মতি এলেই কেবল বলুন।

১৪. অন্যের লেখা/ছবিতে কার্টেসি না দেয়া অন্যায়। লেখা শেয়ার করতে অনুমতির প্রয়োজন নেই।


Source: Collected


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)